গত কয়েকদিনের অতিবর্ষন, পাহাড়ী ঢল ও সমুদ্রের জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী, নালা, খাল বিল পানিতে থৈ থৈ হয়ে রাস্তা ঘাট, ঘরবাড়ি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জনজীবন নাকাল হয়ে পড়েছে উখিয়ার প্রায় প্রতিটি গ্রাম। অকস্মাৎ বন্যা পরিস্থিতির কারনে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে হাজার হাজার গৃহবন্ধী মানুষ। একদিকে রাষ্ট্র ঘোষিত লক ডাউনে জনজীবন প্রায় অচল, অন্যদিকে হঠাৎ প্রাকৃতিক বন্যা, ভূমিধ্বস, যেন মরার উপর খাড়ার ঘা!
উখিয়া উপজেলায় লোক সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ। সাথে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৮ লক্ষ রোহিংগা জনসংখ্যাসহ উখিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ। এই অল্প আয়তনে অধিক জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ উখিয়া উপজেলা। রোহিংগা অধ্যুষিত এলাকায় একদিকে পাহাড় ধ্বস, অন্যদিকে পাহাড়ের নিচে অবস্থানরত শেডগুলোতে প্রায় গলা অবধি পানি। অন্যদিকে হোস্ট কমিউনিটির প্রতিটি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত। অধিকাংশ মানুষ গৃহবন্ধী। অনেকেই ঘরে আগুন জ্বালাতে পারেনি। বিশুদ্ধ পানির অভাব, শুকনো খাবারের অপ্রতুলতা। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ মারাত্মক দুঃখ, কষ্টে কালাতিপাত করছে।
উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। মাননীয় নির্বাহী অফিসার, উখিয়া ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উনাদের সীমিত লোকবল, সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, অন্যান্য জনপ্রতিনিসহ স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে চকরিয়া এলাকায়ও বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মাতামুহুরিতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি ঢলের পানি ও সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চকরিয়ার হাজার হাজার একর ফসলী জমি এখন পানির নীচে। ঘরবাড়িগুলোতে এক কোমড় পানি। ঢলের স্রোতে বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। বন্যার পানিতে গৃহবন্ধী মানুষকে খাবার পৌঁছাতে সার্বক্ষণিক চেষ্টা করে যাচ্ছে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা প্রশাসন। গতকাল স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব জাফর আলম এম.এ ৫০০০ পরিবারের মাঝে রান্না করা খাবার পৌছিয়েছেন।
কপিরাইট সত্ত্ব-২০২২ ছাত্রছাত্রী ডট কম, কারিগরি সহায়তায়ঃ বিগবস সফট বিডি
Leave a Reply