ডাঃ বিজয়।ঃ “দাওয়াত এ গিয়ে পুরো পরিবার আক্রান্ত। ৩০ বছরের ছেলেটা প্রেগনেন্ট বউ রেখে মা কে নিয়ে ভর্তি হলো। আজকে ২ টার দিকে তরতাজা জোয়ান ছেলেটা আমার হাতে মরে গেল শ্বাস কষ্ট নিয়ে। মরার সময় কাউকে পেলনা। কাউকে না। এদিকে ভাই আসল আমার কাছে। – স্যার, মার অবস্থা খুব খারাপ। হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা লাগবে। জানা মতে আমার ৭০টা আইসিইউ বেড এ ঐ একটাই খালি বেড, যেটায় ছেলেটার প্রাণহীন দেহটা। – দাঁড়ান। আপনার ভাইকে সরিয়ে ওটা সেট করি আপনার মার জন্য। আর ওকে আপাতত পাশের বিছানায় রাখি। ঢেকে রাখি। – না স্যার!! মা চিনে ফেলবে! আপনি লাশটা একটু দূরে রাখেন। আমাদের লোক নাই। দুইটা লাশ নিতে পারবো না। মা কে বাঁচান। এইটা কিসের আলামত?? আমি ক্লান্ত। আর পারছিনা।”
লেখকঃ ডাঃ বিজয়, ৩৯ বিসিএস, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯,আইসিইউ। (বুধবার, ৭ই জুলাই, ২০২১।
প্রিয় পাঠক, ফেসবুক নিউজফিড থেকে নিবেদিতপ্রাণ চিকিঠসক ডাঃ বিজয়ের আইডি থেকে সংগৃহীত। এই স্ট্যাটাস দ্বারা করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি অনুমান করা যায়। আমাদের প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।
কপিরাইট সত্ত্ব-২০২২ ছাত্রছাত্রী ডট কম, কারিগরি সহায়তায়ঃ বিগবস সফট বিডি
Leave a Reply