1. admin@chattrachattri.com : admin :
  2. bigboss@yahoo.com : bb :
  3. shamkabir2003@gmail.com : shamkabir :
জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকে চেনেন? - ছাত্র-ছাত্রী ডট কম
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন

জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকে চেনেন?

  • বুধবার, ৬ মে, ২০২০
  • ৫৯৫ বার পড়া হয়েছে

সায়েদ কবিরঃ জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটাকে কেউ চেনেন? তিনি বাংলার গর্বিত সন্তান জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন (জন্ম: ৫ মে, ১৯৫২ এবং মৃত্যু: ১০ নভেম্বর, ২০১৪।) এই মহান ব্যক্তির শেষ জীবনটা কত কষ্টের ছিল তা বর্ণনাতীত।

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের গণপূর্ত বিভাগ মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের লক্ষ্যে নকশা আহ্বান করে। বিভিন্ন নকশাকারদের পাশাপাশি ২৬ বছরের তরুণ স্থপতি মাইনুল ইসলাম স্মৃতিসৌধের নকশা জমা দেন। প্রায় ১৭-১৮ জন প্রতিযোগীর ৫৭টি নকশার মধ্যে তাঁর প্রণীত নকশা গৃহীত হয় এবং তাঁর করা নকশা অনুসারেই ঢাকার অদূরে সাভারে নির্মিত হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। উল্লেখ্য যে, তিনি ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে
প্রথম শ্রেণীতে স্থাপত্য বিদ্যা পাশ করেন তিনি৷

অথচ জাতির এই কৃতি সন্তানের শেষ জীবনটা খুব কষ্টে কেটেছে। এতো বড়মাপের রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও শেষ জীবনে তাঁর চিকিৎসা তো দূরে থাক, সামান্য খোঁজটাও নেয়নি তেমন কেউ। যেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অপরাধ(!) ছিল ৭টা স্তম্ভে একটা জাতির সবচেয়ে গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরা। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং তাঁর ডায়াবেটিস ছিল মারাত্মক অনিয়ন্ত্রিত। রক্তচাপও ছিল খুব কম। শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে নেওয়ার পরপর চিকিৎসা দেওয়া হলেও আর তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

ভাবতেও অবাক লাগে সৈয়দ মাইনুল হোসেনের স্থাপত্য ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধ’ এর ডিজাইন করার সম্মানী পাবার কথা ছিল ২ লাখ টাকা, আয়কর চাওয়া হয়েছিল এর ৫০%, অর্থাৎ এক লাখ টাকা। ১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদ জাতীয় স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন। সেই জাতীয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই মহান মানুষটাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রাষ্ট্রীয় ভিভিআইপিরা চলে যাওয়ার পর তিনি সেখানে গিয়ে জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন তাঁর অমর সৃষ্টি।

১৯৭৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সৈয়দ মাইনুল হোসেন ৩৮টি বড় বড় স্থাপনার নকশা করেছেন৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
জাতীয় স্মৃতিসৌধ (১৯৭৮)
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (১৯৮২)
ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও ভোকেশনাল ট্রেনিং ইস্টিটিউট (১৯৭৭)
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবন (১৯৭৮)
চট্টগ্রাম ইপিজেড এর অফিস ভবন (১৯৮০)
শিল্পকলা একাডেমীর বারো’শ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম
উত্তরা মডেল টাউন (আবাসিক প্রকল্প (১৯৮৫)

পুরস্কার পেয়েছেন একুশে পদক, শেলটেক পদক।

স্থাপত্যকর্মে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার মধ্য দিয়ে সৈয়দ মাইনুল হোসেন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন চিরকাল।

ছবি ও তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

লেখকঃ সায়েদ কবির,
চতুর্থ বর্ষ, অ্যাপ্লাইড আর্ট শাখা,
চারুকলা ইনস্টিটিউট,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

ভালো লাগলে এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
 

কপিরাইট সত্ত্ব-২০২২ ছাত্রছাত্রী ডট কম, কারিগরি সহায়তায়ঃ বিগবস সফট বিডি

Theme Customized By BreakingNews