ছাত্র-ছাত্রী ডট কম ডেক্সঃ চট্টগ্রামের জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা “পাঠক নিউজ” এর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিল্পী ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাত্র তিন দিনেই করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। জনাব শিল্পী সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল থেকে মাত্র তিনদিনেই করোনামূক্ত হন।
উনার মতে, যদি কারো শরীরে করোনাভাইরাসের সিনট্রম দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জ্বর হলে জ্বরের ঔষধ এবং গলাব্যথা থাকলে ব্যাথার ঔষধ খেলেই চলবে। আসলে করোনাভাইরাসের জন্য আলাদা কোন ঔষধ নেই।
একটি কেতলি বা পাত্রে আড়াই বা তিন গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু ও আদা ছোট ছোট করে কেটে মিশাতে হবে, কয়েকটি তেজপাতা, সামান্য কালিজিরা এবং ১০ টি লং পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। এরপর যদি বাসায় থাকে তাহলে এক চামচ খাটি সরিষার তৈল গরম পানিতে মিশিয়ে সেই পানির ১০ মিনিট ভাপ নাকে মুখে নিতে হবে। এভাবে প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা পর পর ভাপ নিতে হবে।
জনাব শিল্পী পরামর্শ দিয়ে বলেন, যদি কারো করোনার সিনট্রম দেখা দেয় তাহলে হাসপাতালে যাওয়ার চাইতে বাসায় আইসোলেশনে থাকাই উত্তম। বেশী জরুরী না হলে বাসার বাইরে না যাওয়া, ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার বেশী খাওয়া, বাইরে আসাযাওয়া ক্ষেত্রে হ্যান্ডস্যানিটাইজার, সার্জিক্যাল মাক্স ও হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার নিশ্চিত করা। সর্বোপরি মনোবল শক্ত রাখতে হবে।
প্রিয় পাঠক, করোনা ভাইরাসের জন্মভূমি চীনের প্রতিটি বাড়িতেই কমবেশী আক্রান্ত রোগী আছে। প্রথমদিকে কিছু আতংকিত হলেও এখন আর তারা করোনাকে পাত্তা দিচ্ছেনা। সেখানকার বাসিন্দারা এই ভাইরাসের জন্য কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না। তারা এর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁরা গরম পানির ভাপ দিয়ে ভাইরাসকে বিনাশ করছেন। তাঁরা মাত্র ৩টি কাজ করছেন।
সেগুলো হলোঃ
১. তাঁরা দিনে চারবার কেটলি থেকে গরম পানির ভাপ নিচ্ছেন।
২. দিনে চারবার গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করছেন।
৩. আর দিনে চারবার গরম চা পান করছেন।
এভাবে টানা চারদিন এই ৩টি কাজ করেই ভাইরাসটিকে দমন করছেন তাঁরা।
এভাবেই পঞ্চম দিনে হচ্ছেন করোনা নেগেটিভ।
কপিরাইট সত্ত্ব-২০২২ ছাত্রছাত্রী ডট কম, কারিগরি সহায়তায়ঃ বিগবস সফট বিডি
Leave a Reply