1. admin@chattrachattri.com : admin :
  2. bigboss@yahoo.com : bb :
  3. shamkabir2003@gmail.com : shamkabir :
মাস্ক পরবেন নাকি ভেন্টিলেশনে যাবেন? - ছাত্র-ছাত্রী ডট কম
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

মাস্ক পরবেন নাকি ভেন্টিলেশনে যাবেন?

  • বুধবার, ৩ জুন, ২০২০
  • ৫৪২ বার পড়া হয়েছে

জাকির হাওলাদারঃ আগে ভেন্টিলেটর বলতে আমরা বিল্ডিংয়ের ভেন্টিলেটরকেই বুঝতাম। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সংশ্লিষ্টতা ব্যাতিত অন্যদের কাছে এই শব্দটির ব্যবহার খুবই কম। করোনাভাইরাস মহামারির মোকাবেলায় হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট সংখ্যক ভেন্টিলেটর সরবরাহ করার জন্য বিশ্বের বহু দেশের সরকারের উপর যখন প্রচণ্ড চাপ শুরু হয় তখনই এটি বিশ্বব্যাপী আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়ায়।

ভেন্টিলেটর কি?
উইকিপিডিয়ায় ভেন্টিলেটরর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এভাবে-

“ভেন্টিলেটর হল ‘লাইফ সেভিং ডিভাইস’। একে বলা হয় সাপোর্টিভ চিকিৎসা। অনেক সময় রোগ জটিলতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলে দেখা যায় রোগী নিজে থেকে শ্বাস নিতে পারছেন না। তাঁর শ্বাসযন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছে না। রেসপিরেটরি ফেলিওর হচ্ছে। তখন কৃত্রিম উপায়ে বাইরে থেকে মেশিনের সাহায্যে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখার চেষ্টা করা হয়। এটাই ভেন্টিলেশন। আর যে যন্ত্রের সাহায্যে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেটি হল ভেন্টিলেটর। সেই সঙ্গে চলে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা। যাতে রোগীকে বাঁচিয়ে তোলা যায়। সাধারণত টার্মিনাস স্টেজেই ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। তাই মানুষ ভাবেন, ভেন্টিলেশন শুরু হলে রোগীর আর ফেরার সম্ভাবনা নেই। তবে একথা ঠিক যে ভেন্টিলেশনে থাকলেই সব রোগীর ভালো হবে ওঠার নিশ্চিন্ত আশ্বাস নেই। সবসময় শেষরক্ষা করা যায় না। কিন্তু, সঠিক রোগের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ভেন্টিলেশন চালু হলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
যেসব রোগীর সংক্রমণ খুবই মারাত্মক তাদের জীবনরক্ষায় ভেন্টিলেটর খুবই কার্যকর এক যন্ত্র।”

করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের বেলায় রোগীর ফুসফুস যদি কাজ না করে তাহলে রোগীর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কাজটা ভেন্টিলেটর করে দেয়। এর মাধ্যমে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে এবং পুরোপুরিভাবে সেরে উঠতে রোগী হাতে কিছুটা সময় পান। নানা ধরনের ভেন্টিলেশন যন্ত্র দিয়ে এই কাজটা করা হয়। এই যন্ত্রটি চাপ দিয়ে ফুসফুসে বাতাস ঢোকায় এবং দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়।

ভেন্টিলেটরে একটি হিউমিডিফায়ারও থাকে। এর কাজ হলো রোগী দেহের তাপমাত্রার সাথে মিল রেখে বাতাস এবং জলীয় বাষ্প ঢোকানো। ভেন্টিলেটর ব্যবহারের সময় রোগীকে এমন ওষুধ দেয়া হয় যাতে তার শ্বাসযন্ত্রের মাংসপেশিতে কোন উত্তেজনা না থাকে।

এখন কথা হলো, এই ভেন্টিলেটর করোনা আক্রান্তের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ স্বাভাবিক রাখার জন্য কিভাবে কাজ করে তা জানুন Dr. Rajiv Mazumdar,
Resident, Urology, Dhaka Medical College Hospital এর কাছ থেকে। উনি লিখেছেন,

“কোভিড-১৯ এর ভেন্টিলেশন মানে একটি নল, যা আপনার গলা দিয়ে নামানো হয় আর মরা বা বাঁচা পর্যন্ত রেখে দেওয়া হয়।
রোগীর কথা বলা, খাওয়া বা স্বাভাবিক কিছুই করতে পারে না- এই যন্ত্রই তাঁদের বাঁচিয়ে রাখে।
আর এতে যে ব্যথা বা অস্বস্তির সৃষ্টি হয়, তা থেকে বাঁচার জন্য মেডিকেল এক্সপার্টরা ব্যথানাশক ও চেতনানাশক দিয়ে রাখেন যেন রোগী নলটা সহ্য করতে পারেন।
এভাবে চিকিৎসার ২০ দিন পর একজন কমবয়সের রোগী তার ওজনের ৪০ ভাগ হারায়, মুখে আর শ্বাসনালীতে ঘা হয়ে যায় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ফুসফুস বা হার্টের সমস্যাও দেখা দেয়।
এই কারণেই বৃদ্ধ কিংবা দুর্বল স্বাস্থ্যের রোগীরা এই চিকিৎসা নিতে পারে না, দ্রুতই মৃত্যুবরণ করেন।
তরল খাবারের জন্য নাক দিয়ে বা চামড়া ছিদ্র করে যেভাবেই হোক রোগীর পাকস্থলীতে নল দেওয়া হয়, তরল মল ধরার জন্য আরও একটা ব্যাগ লাগানো হয়, প্রস্রাব ধরার জন্য একটা আর স্যালাইনের জন্য শিরাপথেও আরও একটা নল দিতে হয়।
দুই ঘন্টা পরপর একজন নার্স বা স্বাস্থ্য সহকারী আপনার হাত পা নাড়াচাড়া করিয়ে দেয় আর আপনি পড়ে থাকেন একটা তোশকের ওপরে, যার ভিতর দিয়ে বরফ ঠান্ডা তরল আপনার প্রতি মুহুূর্তের বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।
এসময়ে আপনার আপনজনেরা আপনার কাছে একদমই আসতে পারেন না।
ভাবুন একটি ঘরে একা আপনি আর আপনার যন্ত্র।”

সুতরাং সচেতনতার সাথে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক পরে চলাফেরা করবেন না ভেন্টিলেশন এর মতো জঘন্য চিকিৎসার সম্মুখীন হবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আপনার।

ভালো লাগলে এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
 

কপিরাইট সত্ত্ব-২০২২ ছাত্রছাত্রী ডট কম, কারিগরি সহায়তায়ঃ বিগবস সফট বিডি

Theme Customized By BreakingNews