এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার সর্বোত্তম পন্থা হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজকে নিরাপদ রাখা। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে
আমাদের দেহে শক্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারি তাহলে এই জীবানু সহজে আক্রমণ করতে পারেনা। শরীরে মজবুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে যে সমস্ত উপাদানগুলো প্রয়োজন তার মধ্যে ভিটামিন-ডি ও ভিটামিন-ই অন্যতম। আসুন জেনে নেই এই দুটি ভিটামিন সম্পর্কে।
ভিটামিন-ডিঃ
অন্যান্য সকল পুষ্টি উপাদানের মতো ভিটামিন ডি’ও আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরি। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিন ভিটামিন-ডি ৭ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম পরিমান প্রাপ্ত বয়স্কদের খাওয়া উচিত। হাড়, দাঁত ও পেশি সুস্থ রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এই ভিটামিন। ভিটামিন ডি’য়ের অভাবজনীত কারণে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। যেমনঃ অবসাদ, ক্লান্তি, হাড়জনীত ব্যথা, বিভিন্ন ক্ষত সারতে বিলম্ব, চুল পড়া, মানসিক বিষণ্নতা ইত্যাদি।
ভিটামিন ডি তৈরি হয় কোলেস্টেরল থেকে, যখন ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে।
এই ভিটামিনের সবচাইতে বড় উৎস হল সূর্যালোক এবং শরীরের প্রতিটি কোষেই ভিটামিন ডি গ্রহনকারী গ্রন্থি বিদ্যমান। এছাড়াও ভোজ্য উৎস যেমন- মাছ ও দুগ্ধজাত পণ্যেও এই ভিটামিন মেলে।
ভিটামিন-ইঃ
ভিটামিন-ই আটটি ফ্যাট দ্রবণীয় যৌগের একটি গ্রুপ যার মধ্যে চারটি টোকোফেরল এবং চারটি টোকোট্রা্ইনল। এই ভিটামিন একটি চর্বিযুক্ত দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা প্রতিক্রিয়াশীল অক্সিজেন প্রজাতি থেকে কোষের ঝিল্লি সুরক্ষা দেয়। ভিটামিন-ই এর ঘাটতি যা বিরল এবং সাধারণত ভিটামিন-ই পরিমান খাদ্যে কম এর চেয়ে ডায়েটরি ফ্যাট হজমের অন্তর্নিহিত সমস্যার কারণেই বেশি হয়। এর ফলে স্নায়ুজনিত সমস্যা তৈরি করতে পারে।
যে সমস্ত খাবারে ভিটামিন-ই পাওয়া যায়ঃ
গম, সূর্যমুখীর তেল, কুসুম ফুল তেল, বাদাম তেল, কাজু বাদাম, পাম তেল, জলপাই তেল, সয়াবিন তেল, চিনাবাদাম, ভুট্টার খই, পেস্তা বাদাম, কাঁচা শাক, ব্রোকলি, মাছ, ঝিনুক, মাখন, পনির, ডিম, মুরগির মাংস, গরুর মাংস, দুধ ইত্যাদি।
আমাদের দেশের ফার্মেসীগুলোতে ভিটামিন-ডি ও ভিটামিন-ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। তবে ভিটামিন চাহিদা পূরণে এসব ক্যাপসুল কতটুকু কার্যকরী সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। সবচেয়ে উত্তম হলো সূর্যের রোদ গ্রহণ ও আমিষ খাবারগুলো গ্রহ।
কপিরাইট সত্ত্ব-২০২২ ছাত্রছাত্রী ডট কম, কারিগরি সহায়তায়ঃ বিগবস সফট বিডি
Leave a Reply